চট্টগ্রামে মাদক কারবারীদের হামলায় যুবদল নেতা আহত। নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামে মাদক কারবারীদের হামলায় যুবদল নেতা আহত
নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী সিডিএ মার্কেট এলাকায় চিহ্নিত মাদক কারবারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মো. আনোয়ার হোসেন (৪০) নামের এক যুবদল নেতা ও ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হয়েছেন।
৩ অক্টোবর শুক্রবার বিকেল ৫ টার সময় চট্টগ্রাম নগরীর পাহারতলী থানা এলাকার সিডিএ মার্কেটের উত্তর পাশ্বে আব্দুল বারেক রোডের সানরাইজ শপিং কমপ্লেক্সের পিছনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত মো. আনোয়ার হোসেন সুনামগঞ্জের পাথরিয়া বাজারের গাজীনগরদা এলাকার হাজী লাল মিয়া শেখের পুত্র। তিনি চট্টগ্রামের সিডিএ মার্কেটের একজন বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও চট্টগ্রাম মহানগর পাহাড়তলী থানা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
এই ঘটনায় ৪ অক্টোবর আহত যুবদলে নেতা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে নগরীর পাহাড়তলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৫
আহত যুবদলে নেতা আনোয়ার হোসেনের দায়ের করা মামলায় আসামিগণ হলেন চিহ্নিত মাদক কারবারী মো. আলমগীর (৪০), রেজাউল করিম (৪০), আমিন (৪০), সোহেল প্রকাশ টাংকি সোহেল (৪৪), আরমান (২৫), নুরুল ইসলাম (১৮), আব্দুল্লাহ (১৯), মুন্নী (৩৫), পারভীন আক্তার (২৮)। মাললায় আরো ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়। উল্লেখ্য অভিযুক্ত সকলে চট্টগ্রাম পাহাড়তলী ও আকবর শাহ থানা এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারী। তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্র হয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবার করছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
আহত যুবদলে নেতা আনোয়ার হোসেনের জানান, আমি ৩ অক্টোবর বিকেল ৫ টার সময় সিডিএ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সাথে হাটতে বের হয়ে চট্টগ্রাম নগরীর পাহারতলী থানা এলাকার সিডিএ মার্কেটের উত্তর পাশ্বে আব্দুল বারেক রোডের সানরাইজ শপিং কমপ্লেক্সের পিছনের পৌঁছামাত্র পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার গতিপথ রোধ করে স্থানীয় চিহ্নিত মাদক কারবারী আলমগীর, রেজাউল করিম, আমিন, সোহেল প্রকাশ টাংকি সোহেল, আরমান, নুরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ, মুন্নী, পারভীন আক্তারসহ আরো ১৫/২০ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা। এসময় তারা আমাকে অতর্কিতভাবে একের পর এক ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। মারাত্মক রক্তাক্ত জখম অবস্থায় স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
তিনি আরো জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমি
স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী চিহ্নিত মাদক কারবারী আলমগীর, রেজাউল করিম, আমিন, সোহেল প্রকাশ টাংকি সোহেল, আরমান, নুরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ, মুন্নী, পারভীন আক্তারসহ আরো বেশ কয়েকজনকে অত্র এলাকায় মাদক বিক্রয় করতে একাধিকবার নিষেধ করে আসছিলাম । একাধিকবার নিষেধ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেও তাদের মাদক কারবারি থামাতে পারিনি। এই নির্ষেধের জের ধরেই তারা আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ও প্রাণনাশের চেষ্টা চালায়। আমি এ হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই। প্রতিদিন উল্লেখিত মামলার আসামিরা মাদক বিক্রয় করছে অত্র এলাকায় বেশ কয়েকজনকে বেতনভুক্ত রেখে ,তাদেরকে দিয়েই খুচড়া মাদক বিক্রয় করা হয়।শুধু তাই নয় তারা মাদক পাচার করছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে গুনতে হয় মামলা, হামলাসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার। অত্র এলাকার সচেতন নাগরিকরা বলছেন। গোটা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ করে এই মাদক সিন্ডিকেটের মূল হোতারা । এসব মাদকের ছোবলে ধ্বংস হচ্ছে প্রতিনিয়ত হাজারও যুবক , ধ্বংস হচ্ছে সমাজ।প্রতিদিন গড়ে এসব এলাকায় মাদক বিক্রয় হয় ২০ থেকে ৩০ লক্ষ টাকার। প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ভালো অভিযান চালালে থাকবে না এসব মাদকের আস্তানা। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক দু'জন স্থানীয় ব্যবসায়িক জানান থানার পাশেই মাদকের হাট কই থানার পুলিশ তো প্রতিদিন অভিযান চালাচ্ছে না, মাঝেমধ্যে লোক দেখানো অভিযান চালিয়ে দুই একজনকে গ্রেফতার করে পাঠাচ্ছে হাজতে।। ধরাছোঁয়ার বাহিরে থেকে যাচ্ছে মাদকের বিশাল গডফাদাররা। স্থানীয় দুই ব্যবসায়িক আরো বলেন। প্রশাসন মাসোয়ারা পেয়ে থাকে যে কারণে গডফাদাররা গ্রেফতার হচ্ছে না। তাছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বলতে একটা সংস্থা আছে তারা মাঝে মাঝে এলাকায় হাঁটাচলা করতে দেখা যায় ,তবে আমরা কাউকে গ্রেফতার করতে কখনো দেখিনি। এসব মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে কেন সরকার বেতন দিয়ে রেখেছেন তা আমাদের জানা নেই। অত্র মাদকের স্পটে প্রতিদিন দেখা মিলে স্কুল কলেজ সহ বিভিন্ন পেশাজীবীর লোকজনদের, কেউই সরাসরি বসে মাদক সেবন করছেন কেউবা চারপাশে এদিক সেদিক তাকিয়ে পকেটে ঢুকিয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছেন বিভিন্ন স্থানে। এভাবে যদি চলতে থাকে আমাদের এলাকার ছেলেমেয়েরা তো ধ্বংস হয়ে যাবে। সূত্রে আরও বলছে আলমগীর একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি হওয়ার পরেও সরাসরি এলাকায় চলাফেরা করছে পাহাড়তলী থানা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাথে আছে এসব মাদক বেচাকেনা গডফাদারদের সু-সম্পর্ক।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, রোগীর মাথায় গুরুতর ক্ষত ছিল, যা সেলাই দেওয়া হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পাহাড়তলর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন জানান এ বিষয়ে বাদীর পক্ষ থেকে একটি
মামলা দায়ের করা হয় । খুব দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার সহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
