নগরীতে পুলিশের ইশারায় ক্যাশিয়ার অলি উদ্দিন এর যত অপকর্ম।

প্রকাশিত: 03 Oct 2025, 22:33
নগরীতে পুলিশের ইশারায় ক্যাশিয়ার অলি উদ্দিন এর যত অপকর্ম। নিজস্ব প্রতিবেদক আকবর শাহ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)আরিফুল রহমান কি পারবে ক্যাশিয়ার মহানগর শ্রমিকলীগ নেতা অলিউদ্দিনকে গ্রেফতার করতে?? অলি উদ্দিন এর দুঃখ-কষ্টে দিন কেটেছে একসময়। কোনো চাকরি পাবেন- এমন লেখাপড়া ছিল না। তাই পেটের তাগিদে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম ছুটে আসেন তিনি। চট্টগ্রামে আসেন ছেঁড়া প্যান্ট-শার্ট ও মাত্র ৫০ টাকা পুঁজি নিয়ে। এখন তিনি হঠাৎ কোটিপতি। মাত্র কয়েক বছরে চট্টগ্রামে গড়েছেন প্রায় ৮০/৯০ লক্ষ টাকার সম্পদ। তার রয়েছে একাধিক টেম্পু,ট্রাক, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও একাউন্ট ভর্তি টাকা। সাথে কিশোরগ্যাং বাহিনী। তার সাথে কথা বললে সাংবাদিকদের দেয় হুমকি, কথিত সাংবাদিকদের করে ম্যানেজ। ফ্যাসিবাদী সরকার থাকা কালীন,খোলস পাল্টানো পটু এই অলি উদ্দীন সম্পর্কে বিভিন্ন সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পরিবহন খাতে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে চট্টগ্রাম হালকা মোটর যান চালক শ্রমিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠনে যোগ দেন তিনি। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম হালকা মোটরযান চালক শ্রমিক ইউনিয়নের পদও পান অর্থ সম্পাদক(অত্র সংগঠন চলে আওয়ামী লীগের পরিচালনায়। আর এতে তার ভালোই হয়েছে। থানার ক্যাশিয়ার পরিচয়ে যখন চাঁদাবাজি করতে যান তখন কেউ চাপ প্রয়োগ করলে বলতে পারেন আপনি ভুল শুনেছেন, আমি চট্টগ্রাম হালকা মোটর যান চালক শ্রমিক ইউনিয়নের ক্যাশিয়ার।পরিবহন সেক্টরে সে যেন মধুর হাঁড়িই পেয়েছেন। এখন আওয়ামী লীগের খোলস পাল্টে বিএনপির মস্ত বড় নেতা। দুই থানার ক্যাশিয়ার ও সংগঠনের অর্থ সম্পাদক পদ ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় করছেন তিনি। চাঁদাবাজির মাধ্যমে কোটিপতি বনে গেলেও বেশভূষায় বোঝার মত উপায় নেই। গরিবি হাল বোঝাতে, সব সময় তার গায়ে থাকে গরিবি পোশাকও ভিক্ষুকী চলাফেরা। বর্তমানে নগরীর মাদার বাড়ি এলাকায় একটি বিলাসবহুল বহুতল ভবনে থাকেন তিনি পরিবার নিয়ে। সকল তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অলির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করলে বিভিন্ন থানার সোর্স ও অপ-সাংবাদিকদের দ্বারা সমঝোতার চেষ্টা করেন। সমঝোতা না করলে মাইর-ধর করার লক্ষ্যে একই দিনে অলি উদ্দিন ছেলেপুলে নিয়ে সাংবাদিকদের খুজতে শেরশাহ বাংলা বাজারে খুঁজতে যান। যার একটি অডিও ক্লিপ আমাদের পত্রিকা অফিসে রয়েছে। তাই জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে দৈনিক প্রতিদিনের বিশেষ প্রতিনিধি আদালতের শরণাপন্ন হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন বিগত দিনে শ্রমিকদের পক্ষেও তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। শ্রমিকরা জানান, ২০২০ সালে কোভিড-১৯ চলাকালে পাহাড়তলীতে,আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণ দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। তখন অলি উদ্দিন আমাদের নামের তালিকা দিয়ে ত্রাণের প্যাকেটগুলো আত্মসাৎ করেন। এই বিষয়ে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাই। তার বিরুদ্ধে এখন নিরীহ শ্রমিকদের অভিযোগই নয়, অভিযোগ আছে স্বয়ং সংবাদকর্মীদেও। তার অপকর্মের একাধিক অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার সাংবাদিকগণ তার মতামত জানতে চান। তখন তিনি সংবাদকর্মীদের হুমকি প্রদান করেন। যেই নিউজ করবে তার বিরুদ্ধেই মামলা করবেন তিনি। তার অপকর্মের বিষয়ে আরো জানতে চাইলে,চট্টগ্রাম হালকা মোটর যান চালক শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি (রেজিঃ নং ২২৬০) মোঃ সেলিম মিয়া বলেন, “অলি উদ্দিন যদি আমাদের সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে কোথাও চাঁদাবাজি করেন কিংবা অপকর্ম করেন তার দায়ভার সংগঠন নিবে না এবং অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আমরা তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব , যদিও সে জন্মসূত্রে আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী বর্তমানে সে বোল্ড পরিবর্তন করে রাতারাতি বিএনপি বনে গেছেন। বিগত শেখ হাসিনার সরকার আমলে তিনি বিএনপির প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে ট্রাকভর্তি বালু দিয়ে বাড়িটির রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন এই ধরনের ভিডিও এবং একাধিক ছবিও আমাদের প্রতিবেদকের হাতে রয়েছেন , বর্তমানে এই অলিউদ্দিনের আছে বিশাল এক কিশোর গ্যাং বাহিনী , যাদেরকে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে লিপ্ত করা হয়। তার অপকর্মের শেষ নেই। তার একটাই কারণ প্রশাসনের পকেট ভারি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সচেতন মহল বলছেন যদি এই অলিউদ্দিনকে আইনের আওতায় এনে দেড় হাজতে প্রেরণ করা হয় তাহলে নগরীর অনেক অফিসার ইনচার্জ ওসি অনাহারে মারা যাবেন। অলি উদ্দিন এর ভয়ানক তান্ডবে দিশাহারা সাধারণ ব্যবসায়ী । এই সোর্স সলিউদ্দিনের ডান হাত হিসাবে ব্যবহার হয় বায়েজিদের আরিফ (প্রকাশ বলাৎকার আরিফ) এই আরিফের নামেও নগরের বিভিন্ন থানায় রয়েছে মামলা! চট্টগ্রাম নগরীর রক্ষক যখন ভক্ষক ভাই বারবার প্রমাণ হচ্ছে এই অলিউদ্দিনকে দিয়ে। বর্তমানে আওয়ামী লীগের বোল্ড চেঞ্জ করে এখন সে মস্ত বড় বিএনপির নেতা , তাকে নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এবং অনলাইনে দীর্ঘ পাঁচ ছয় বছর ধরে বহু সংবাদ প্রকাশ হলেও ইদানিং দেখা যাচ্ছে সাবেক যেসব সংবাদ প্রকাশ হয় অনলাইনে ।অলিউদ্দিনের টাকার কাছে বিকৃত সাংবাদিকরা অনলাইনে হওয়া অলিউদ্দিনের অপকর্ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ ডিলেট করে দেন কথিত সাংবাদিক ও ভূঁইফোর অনলাইন চেয়ারম্যানরা। এই কথিত অনলাইনের বিরুদ্ধে ও আইন আনুক ব্যবস্থা করা উচিত বলে মনে করেন সচেতন মহল ,টাকার কাছে কেন বিক্রি হবে সংবাদপত্র। এখন সে টোকাই থেকে হঠাৎ কোটিপতি হওয়া অলিউদ্দিন মস্ত বড় বিএনপির নেতা ,পুরো নগরী জোরে চলে তার রাজত্ব যারাই তাকে ঠকাবে তারাই বিক্রয় হয়েছে অলিউদ্দিনের টাকার কাছে, রক্ষক যখন ভক্ষক। বর্তমানে এই অলির হয়ে কাজ করছেন বলাৎকার আরিফ ও কোতয়ালী সিআরবি এলাকায় স্বর্ণ ছিনতাইকারী কথিত সাংবাদিক নেজাম, জাতীয় দৈনিক মুক্ত খবর পত্রিকার নাম বিক্রয় করে নেজাম দিন দিন বেপরোয়া ও ছিনতাই চাঁদাবাজিতে প্রতিনিয়ত লিপ্ত । বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন নেতাদের সাথে কথা বললে নেজামকে নিয়ে তারা বলেন একজন ছিনতাইকারীকে জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক কিভাবে প্রেস কার্ড দিয়ে থাকে। ওইসব কথিত সম্পাদকের বিরুদ্ধে ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন আমরা মনে করি। তবে অলি উদ্দিন এর এসব অপকর্ম দীর্ঘদিনের জানেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সহ ঊর্ধ্বতন বহু কর্মকর্তারা ,তাদেরকে বিষয়টা জানানো হলোও কখনো যাননি অ্যাকশনে। বিগত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার আমলে এই অলিউদ্দীনের বিরুদ্ধে বহু সংবাদ প্রকাশ হলেও থামানো যায়নি তার অপকর্ম , যখনই তারা অপকর্ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয় পালিয়ে যায় অদূর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে।কথা দিয়েছিলেন এই অলি উদ্দিন কে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার , কথা আর কখনো রাখা হয়নি ।তবে আওয়ামী লীগ সরকার পতন হওয়ার পর বোল্ড চেঞ্জ করে রাতারাতি বিএনপির মস্ত বড় নেতা পরিচয় দিয়ে এখন সে আরও বেপরোয়া !শুধু তার চাঁদাবাজি টাকা উত্তোলন করেন বর্তমানে ২০থেকে ৩০ জনের একটা সন্ত্রাসী গ্রুপ। সে থাকে পর্দার আড়ালে। নগরীতে বহু ভুয়া সাংবাদিক আছে অলি উদ্দিন এর পকেটের টাকা দিয়ে যাদের সংসার চলে এই সোর্স ক্যাশিয়ার অলিউদ্দিনের চাঁদাবাজির টাকায়।। বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীর মাদক ,চোরাচালান, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ, ভেজাল ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন অপকর্মের একমাত্র যোগানদাতা এই অলি উদ্দিন।এই অলিউদ্দিনের এত ক্ষমতা যে তার পকেটে আছেন সব প্রশাসন। এবার বিএনপির নাম ভাংগিয়ে নতুন রুপে চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার আলোচিত নাম ক্যাশিয়ার সেই অলি। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। থানার ক্যাশিয়ার পরিচয় ব্যবহার করে চাঁদাবাজি ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। তাদের দাবি অলির নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী চক্র দীর্ঘদিন ধরে নগরীতে সক্রিয় রয়েছে। এ নিয়ে একাধিক পত্রপত্রিকা ও চ্যানেলের শিরোনামেও উঠে এসেছে অলির নাম। এই চক্রের অন্যতম সহযোগী বায়েজিদের বলাৎকার আরিফ ও নিজাম। কিছুদিন আগে স্বর্ণ ডাকাতির মামলায় কোতোয়ালি থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল নিজাম বাহিনী। পরবর্তীতে ক্যাশিয়ার অলির সহযোগিতায় মুক্তি পেয়ে আবারও চাঁদাবাজিতে বেপরোয়া হয়ে ওঠে তারা। নিজাম নিজেকে গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে পরিচয় দিলেও বাস্তবে তার সঙ্গে কোনো গণমাধ্যমের সম্পৃক্ততা নেই। বরং সাংবাদিক পরিচয়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেই ছিনতাই চাঁদাবাজিকে পেশা বানিয়েছে সে। অভিযোগ রয়েছে—অলির ছত্রছায়ায় থেকেই নিজাম বিভিন্ন সময়ে দাপট দেখিয়ে বেড়ায় এবং ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে। স্থানীয় সূত্র জানা যায় নিজাম বিভিন্ন সময়ে চাঁদাবাজির কাজে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নামও ব্যবহার করে। এর মধ্যে বায়েজিদ এলাকার বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত যুবদল নেতাদের নাম ভাঙিয়ে একাধিকবার চাঁদাবাজি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সাংবাদিকরা যখন এ বিষয়ে তথ্য জানতে চান, তখন নিজাম ছাত্রদলের নাম ব্যবহার করে তাদের হুমকি দিয়ে ভয় ভীতি দেখায়। আকবর শাহ থানার আশপাশের এলাকায় ব্যবসা বা অন্যান্য কার্যক্রম চালাতে হলে অলি নিজাম চক্রের কাছে জবাবদিহি করতে হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ব্যবসা নির্বিঘ্নে চালাতে অনেকেই নীরবে চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান অলির বিরুদ্ধে কথা বললেই হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়। এমনকি থানার নাম ব্যবহার করেও সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানো হয়। এলাকার সচেতন মহল বলছে অলি ও নিজামকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি। তাদের মতে, প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপই একমাত্র এই চক্রের দৌরাত্ম্য থামাতে পারে। কিছুদিন আগে নগরির আকবর শাহ থানা এলাকায় এলাকাবাসীর যোগসাজসে একটি মানববন্ধনের উদ্যোগ নেন এলাকাবাসী,তবে সেই মানববন্ধনের কথা জানতে পারেন আনোয়ার টিভির তিন কথিত সাংবাদিক। জানতে পেরে যোগাযোগ করেন ক্যাশিয়ার নামক ওই অলি উদ্দিন এর সাথে রফা দফা হয় তিন লক্ষ টাকায় ।বন্ধ হয়ে যায় মানববন্ধন প্রতিবাদ এভাবেই চলছে দিন দিন অলিউদ্দিনের বেপরোয়া চাঁদাবাজি।। এই ক্যাশিয়ার অলি উদ্দিন হাওলাদার এর নামে থানা ভাঙচুর ও লুটপাটের একটি মামলাও রয়েছে নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলার নং ২১। আরও আসছে পরের প্রতিবেদনে....
📘 ফেসবুক ▶️ ইউটিউব