ব্যবসায়ীদের করের চাপ বাড়ছে: ‘মিনিমাম ট্যাক্স’ বাধ্যতামূলক, প্রভাব পড়ছে বাজারে।

প্রকাশিত: 12 Oct 2025, 17:40
ব্যবসায়ীদের করের চাপ বাড়ছে: ‘মিনিমাম ট্যাক্স’ বাধ্যতামূলক, প্রভাব পড়ছে বাজারে। স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশে এখন কোম্পানি লাভ করুক বা লোকসান, বিক্রির উপর অন্তত ১ শতাংশ কর দিতে হবে—এটাই বর্তমান আয়কর আইনে নির্ধারিত “মিনিমাম ট্যাক্স”। অর্থাৎ ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়লেও সরকারকে বিক্রির পরিমাণ অনুযায়ী কর দিতে হবে। অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী মহলের মতে, এই করব্যবস্থায় ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তারা সবচেয়ে বেশি চাপের মুখে পড়ছেন। কারণ, ধরা যাক—একজন ব্যবসায়ী ৫০০ টাকায় চাল কিনে ৫১০ টাকায় বিক্রি করছেন। অর্থাৎ লাভ মাত্র ১০ টাকা। কিন্তু তাকে কর দিতে হবে বিক্রয়মূল্যের ১ শতাংশ অর্থাৎ ৫ টাকারও বেশি। এতে প্রকৃত লাভ প্রায় শেষ হয়ে যায়। তার ওপর যদি সেই ব্যবসা ভ্যাটের আওতায় পড়ে, তাহলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। কারণ ভ্যাটের হার সর্বোচ্চ ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে, যার ফলে ৫০০ টাকায় প্রায় ৭৫ টাকা পর্যন্ত ভ্যাট যোগ হতে পারে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা প্রায়ই সরকারের কাছে অবকাঠামো উন্নয়ন, বিশেষ করে রাস্তা প্রশস্তকরণের দাবি করে থাকেন। কিন্তু অনেকে বুঝতে চান না—সরকার এই উন্নয়ন ফান্ড সংগ্রহ করে নাগরিকদের থেকেই, কর ও ভ্যাটের মাধ্যমে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকার মানেই “ফ্রি কিছু পাওয়া” নয়। সরকার জনগণের করের টাকায় চলে, আর সেই টাকাগুলো ব্যয় করতে প্রশাসনিক ধাপ ও খরচও থাকে। ফলে শেষ পর্যন্ত জনগণ যে কর দেয়, তার একটি অংশই সরাসরি কাজে লাগে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যবসা সহজ করা, কর কাঠামো যৌক্তিক করা এবং ভ্যাট বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সহজ করার মাধ্যমেই দেশের অর্থনীতি আরও স্থিতিশীল করা সম্ভব। সারকথা: সবকিছু একসাথে পাওয়া সম্ভব নয়—ব্যবসা বাধাহীনভাবে এগোবে, দাম কম থাকবে, আবার উন্নত অবকাঠামোও হবে—এমন ভারসাম্য তৈরি করতে হলে করনীতি ও ব্যয়নীতিতে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ দরকার।
📘 ফেসবুক ▶️ ইউটিউব