সিদ্ধিরগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ‘ডাকাত সর্দার’ সাহেব আলীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব!
র্যাব-১১ ও র্যাব-৯ এর যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার, ২০টিরও বেশি মামলার আসামি।
নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রশাসনের কাছে দাবি কারা তার আশ্রয়দাতা, রিমান্ডে এনে তা উদঘাটন করা হোক
নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও কুখ্যাত ‘ডাকাত সর্দার’ সাহেব আলীকে সিলেট সুনামগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১ ও র্যাব-৯ এর একটি যৌথ দল।
বুধবার গভীর রাতে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সাহেব আলীর বিরুদ্ধে হত্যাসহ ডাকাতি, মাদক, অস্ত্র ও চাঁদাবাজির একাধিক মামলা রয়েছে।মোট ২০টিরও বেশি মামলা বিভিন্ন থানায় চলমান।
এর আগে গত ৫ অক্টোবর গাজীপুরের গাছা থানার চান্দুরা এলাকা থেকে সাহেব আলীর স্ত্রী, ছেলে ও চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১।
এসময় তাদের কাছ থেকে খেলনা পিস্তল, শাবল, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং একাধিক মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো সাহেব আলীর স্ত্রী কল্পনা বেগম (২৯), ছেলে সজীব (১৯), শ্যালক শামীম মিয়া (২৬), সহযোগী মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে হাফিজ শেখ (২৩), আব্দুল মজিদের ছেলে আমিনুল ইসলাম (৩৪) এবং মৃত হাশেমের ছেলে মোঃ আকবর (২০)। তারা সকলেই সাহেব আলীর অপরাধ জগতের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ছিল বলে র্যাব জানায়।
উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিদ্ধিরগঞ্জের চার নম্বর ওয়ার্ডের বউবাজার এলাকায় সাহেব আলীকে গ্রেপ্তারের জন্য র্যাবের একটি টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
তখন সাহেব আলীর সহযোগীরা সাদা পোশাকধারী র্যাব সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়, এতে র্যাব সদস্যসহ চারজন আহত হন।
এরপর থেকেই সাহেব আলী পলাতক ছিলেন।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা, শিমরাইল, মাদানীনগরসহ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল এই সাহেব আলী চক্র।
স্থানীয় সচেতন মহল ও এলাকাবাসী দাবি জানিয়েছেন, সাহেব আলীর মতো শীর্ষ সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন যেভাবে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছে, তাতে স্পষ্ট হয়।
কোনো প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়া ছাড়া এমন অপরাধ সাম্রাজ্য টিকতে পারে না।
তারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, সাহেব আলীকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার আশ্রয়দাতা, অর্থদাতা ও পৃষ্ঠপোষকদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক।
নারায়ণগঞ্জবাসী আশা করছে, সাহেব আলী ও তার চক্রের সকল সদস্যসহ তাদের শেল্টারদাতারা যাতে চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার হয় সে বিষয়ে র্যাব, জেলা পুলিশ, ডিবি ও প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সিদ্ধিরগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ‘ডাকাত সর্দার’ সাহেব আলীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব!
রিপোর্ট জয়নুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।
